Help line 01755-660522

Search
ত্বক কেন ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়?

রূপচর্চা করুন আর নাইবা করুন, জীবনে অন্তত একবার হলেও মনে এই প্রশ্নটা এসেছে যে – ত্বক কেন ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়? ত্বক আসলে বিভিন্ন কারণে কালো হয়ে যেতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন, রোদে পোড়ার কারণে কিংবা যর্থার্থ পরিচর্যার অভাবে ত্বক ধীরে ধীরে কালো হয়ে যেতে শুরু করে। আবার, অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদনের কারণে ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে। আরো নানাবিধ কারণে ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে। আর আজকের আয়োজনটাই সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। যেসব কারণে ত্বক কালো হয়ে যায় –

হাইপারপিগমেন্টেশন

মেলানোসাইট নামক একটি কোষ থেকে মেলানিন পিগমেন্ট উৎপাদন হয়ে থাকে, যা ত্বকের ও চুলের স্বাভাবিক রঞ্জক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই মেলানিন অতিরিক্ত উৎপাদন হলে ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় এবং ত্বকে বিবর্ণতা দেখা দেয়। পিগমেন্টেশন শুধু অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদনের কারণেই নয়, বরং ত্বক রোদে পুড়ে গেলে, কেটে গেলে বা ব্রণের দাগসহ বিভিন্ন কারণে ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে। আর ত্বক থেকে উজ্জ্বলতা কমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ত্বক হয়ে যায় কালো, নিস্তেজ ও অনুজ্জ্বল! হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে বায়োজিনে আছে Melumin Series।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি

মুখ হচ্ছে শরীরের ত্বকের সবচেয়ে উন্মুক্ত অঙ্গ। সূর্যের ক্ষতিকর UVA ও UVB রশ্মি ত্বকে মেলানিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকে কালচে ভাব দেখা দেয়। আর সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করলে ত্বকে রোদে পোড়া ভাব দেখা দেয় যা ত্বকের কালচে ভাব অন্যতম কারণ। এছাড়াও, সূর্যের আলো থেকে সানস্পট ও এইজ স্পট দেখা দেয় ত্বকে। ফলে ত্বক হয়ে যায় কালচে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে বায়োজিনে আছে Novaclear এর Urban Sunblock.

মেছতা

হরমোনাল পরিবর্তন ও অতিরিক্ত সূর্যের আলোয় চলাফেরা করলে স্কিনে দেখা দেয় মেছতা। সূর্যের আলোর সংস্পর্শ থেকে বাঁচতে ত্বক অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদন করে যা কালো ছোপ ছোপ দাগে দেখা দেয় ত্বকে। ফলে ত্বক হয়ে যায় কালচে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া এবং মানসিক চাপের কারণে ত্বকে ছোপ ছোপ কালচে দাগ দেখা দিতে পারে। চিরতরে ও জেদি মেছতা দূর করতে বায়োজিনে আছে Melanyc Cream.

হরমোনের পরিবর্তন

বয়সভেদে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয় শরীর থেকে। যেমন – গর্ভাবস্থায় ও গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার কারণে হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর এই পরিবর্তনের কারণে ত্বকেও প্রভাব পড়ে। ত্বক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে কালো হয়ে যেতে থাকে।

ভিটামিনের অভাব ও অপুষ্টি

শরীরের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন দরকার, ঠিক তেমনই ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন। কেননা, ভিটামিনের অভাবে অপুষ্টিতে ত্বক ম্লান ও নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে। বিশেষ করে, ভিটামিন এ, বি, সি এবং বি-কমপ্লেক্স ইত্যাদি ত্বকের জন্য অত্যন্ত দরকারী।

ট্রিটমেন্ট

ত্বক দিন দিন কালো হয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক। কেননা, সঠিক যত্নের অভাবে, পল্যুশন, সানবার্ন ইত্যাদি কারণে ত্বক কালো হয়ে যায়। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্যে চাই বাড়তি যত্ন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে যেসব উপাদান কার্যকরী তা হচ্ছে –

রেটিনয়েড

ব্রণ থেকে শুরু করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে রেটিনয়েড দারুণ কার্যকরী একটি উপাদান। ত্বক থেকে বয়সের ছাপ ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এই উপাদান। এমনকি ডার্কস্পট দূর করার পরেও স্কিনটোন ইভেন করতে এই উপাদান অত্যন্ত কার্যকর। রেটিনয়েডে থাকে রেটিনয়েক এসিড ও রেটিনাইল পালমিডেড। দুটি যৌগিকই স্কিনের দাগ নির্মূলে অত্যন্ত কার্যকর এই উপাদান। বায়োজিনে আছে SkinClinic Retinol ONE MILLION – যা বয়সের ছাপ দূর করে স্কিনকে স্বাস্থ্যকর করতে অত্যন্ত কার্যকর। আরো আছে Whiten Whitening Night Cream.

কোজিক এসিড

স্কিনটোন উজ্জ্বল করতে কোজিক এসিড অত্যন্ত কার্যকর একটি উপাদান। মেছতা, হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ডার্কস্পটের মতো কঠিন দাগ দূর করে স্কিনটোন উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে কোজিক এসিড। বায়োজিন আছে BIO White Quick Whitening Day-Night Cream.

লেজার ট্রিটমেন্ট

লেজার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে স্কিনকেয়ারে আধুনিক একটি সংযোজন। লেজার এনার্জীর মাধ্যমে এই ট্রিটমেন্টে স্কিন হয় তারুণ্যময় ও উজ্জ্বল। দেশসেরা ক্লিনিকে বায়োজিনে আছে – Advanced Bio-Hydra Facial – যা স্কিন থেকে বয়সের ছাপ, রোদে পোড়া ভাব ও স্কিনের দাগ দূর করে স্কিনকে করে লাবণ্যময়। আরো আছে Advanced EPN Treatment – যা ডার্কস্পট, মেছতা, বয়সের ছাপ ও বার্ধক্যজনিত সব লক্ষণ দূর করে আর স্কিনকে করে তারূন্যময়।

এখন পাঠক আপনি বলুন তো, আপনি স্কিনও কি নিত্যদিনের ধকলে দিন দিন কালো হয়ে যাচ্ছে? তাহলে কোন ট্রিটমেন্টটি আপনার জন্যে দরকারী সেটা জানিয়ে দিন কমেন্ট করে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *