অতিরিক্ত গরমে ঘামের কারণে পানিশূন্যতায় ভুগছেন। এই সময়ে বিশেষজ্ঞরা পানীয় খাবারের প্রতি নির্ভর করতে বলেছেন। গরমে এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে পর্যাপ্ত পানি আছে। সেই সাথে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনীয় প্রোটিন রাখা উচিত। গরম বলে না খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তা বলে না খেযে থাকলে শরীর খারাপ করবে।
গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার পানি খেতে হবে। নিজের পছন্দের সরবত খেতে হবে। চা ও কফি পরিমাণের বেশি খাবেন না, ফলের রস/জুস জাতীয় খাবার খান।
নাশতায় দই চিড়া, আম-চিড়া, ছাতু, রুটি, পাউরুটির মতো হাল্কা খাবার খান। ভাতের সাথে প্রচুর শাক-সবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না করা খাবার খান তাতে শরীর সুস্থ্য থাকবে।
প্রচুর পরিমাণ ফল খান, তরমুজ, আম, কাঁঠাল, শসা, কলা, লিচু, জামরুলের মতো ফল খান তাতে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। রাতে খাওযার সময অল্প পরিমানে হাল্কা রান্না করা খাবার খান।
রাস্তায বানানো জুস খাওযা যাবেনা, বিশেষ করে রাস্তা ঘাটে কাটা ফল, ফলের জুস যতটা সম্ভব কম খাওযাই স্বাস্থ্যকর।
তাজা শাক-সবজি, ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত আর প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম জাতীয খাবার রাখা প্রয়োজন। গরমে তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন মিষ্টি জাতীয় খাবার বা চিনি না খেযে মধু খেতে পারেন। গরমে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট জাতীয খাবার কমিযে খাওযা উচিত কারন কার্বোহাইড্রেট শরীরে গিযে শর্করায় রূপান্তরিত হযে থাকে। অতিরিক্ত মশলা ও তেল অবশ্যই এড়িযে যেতে হবে। ভাজা পোড়া খাবার গ্রীষ্মে একেবারেই না খাওযা উচিত। পাতলা ঝোলের তরকারি গরমে অনেক উপকারী। কাঁকড়া ও চিংড়ি শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায তাই গরমে এগুলো এডিযে যাওযাই শ্রেষ। ধূমপান ও অ্যালকোহল এ সমযে এড়িয়ে চলা উচিত।
আলিয়া সাবরিনা
ফিটনেস নিউট্রিশনিস্ট
গাজীপুর ব্রাঞ্চ
No Comments