Help line 01755-660522

Search
ইনসোমিয়ার তে ভুগছেন না তো?

ঘুম এর সমস্যায় আমরা কম বেশি সকলে ভুক্তভোগী। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের ঘুম কম হয় খুব স্বাভাবিক সমস্যা কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্কদের ঘুম এর সমস্যা স্বাভাবিক বিষয় নয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের ঘুম কম হওয়ার সাথে তাদের এলোমেলো খাদ্যভাস সহ ব্যায়াম না করা এবং তাদের জীবন প্রনালী অনেকাংশে দায়ী।

ঘুমের এ ধরনের সমস্যা

১. স্বল্প-মেয়াদী (তীব্র) হতে পারে ( এক রাত থেকে সপ্তাহ খানেক)
২.দীর্ঘ সময় ধরে (দীর্ঘস্থায়ী) হতে পারে এবং এক পর্যায়ে ইনসোমিয়ার হয়। ( টানা সপ্তাহখানেক থেকে ৩ মাস)

ইনসোমিয়া এক ধরনের অসুস্থতা যা ঘুম এর সমস্যার দরুন হয়ে থাকে।

ইনসোমিয়ার হওয়ার পিছনে কারনগুলোকেঃ

-প্রাইমারি ইনসোমিয়া
স্ট্রেস,ঘুমের খারাপ অভ্যাস, উদ্বেগ এবং হতাশার মতো মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধি, শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যথা, স্নায়ুজনিত সমস্যা সহ অন্যান্য।

-সেকেন্ডারী ইনসোমিয়া
সর্দি, অ্যালার্জি, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানির জন্য ওষুধ রাতে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা বা অস্বস্তি, ক্যাফেইন, তামাক বা অ্যালকোহল, হাইপারথাইরয়েডিজম এবং অন্যান্য এন্ডোক্রাইন সমস্যা ব্যবহার করে, ঘুম ঘুম ভাব কিন্তু ঘুম নেই।

প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা বাড়ছে ইনসোমিয়ার থাকার কারণে। ইনসোমিয়ার সম্ভাবনা কমাতে সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন।

যেসব নিয়ম মেনে চলবেনঃ

# রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠা। ( দিনের বেলা নেপ নেওয়ার        অভ্যাস পরিহার করা)
# বিছানায় যাওয়ার আগে ফোন বা ই-বুক ব্যবহার করবেন না। ( আলো ঘুমিয়ে পড়া আরও কঠিন করে তুলতে পারে)
# নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বিছানায় যাওয়ার কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘন্টা আগে ব্যায়াম করুন। ( ব্লাড সারকুলেশন সচল থাকে ঘুমে সাহায্য করে)
# রাতে ভারী খাবার খাবেন না। শোবার আগে হালকা কুসুম পানি গ্রহণ করবেন।
# রাতে ক্যাফেইন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (ক্যাফেইন এবং নিকোটিন উত্তেজক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়)।

বিঃদ্রঃ ঘুম কম হচ্ছে বলে ঘুমের মেডিসিন নেওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন ডাক্তারের ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

Most. Nourin Mahfuj
Fitness Nutrition Specialist

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *