Help line 01755-660522

Search
শরীরের স্ট্রেচ মার্ক বা ফাটা দাগ দূর করার উপায় কি?

যে কোন নিখুঁত জিনিসের প্রতিই মানুষের আকর্ষন থাকে সবচেয়ে বেশি। আর সেটা যদি হয় নিজের স্কিন বা ত্বক – তাহলে সেটা মসৃণ, নিখুঁত ও উজ্জ্বল হওয়া চাইই চাই। তাই, স্কিনের যে কোন দাগই বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর লাগে। আর সেই দিক দিয়ে সব দাগকে পেছনে ফেলে ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক যেন একধাপ এগিয়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় স্ট্রেচ মার্ক কোন রোগ নয়! তবে ক্ষেত্রবিশেষে এটি রোগেরই সমতুল্য মনে করা হয়ে থাকে। আজকের আয়োজনে থাকছে স্ট্রেচ মার্ক কি, কেন হয় এবং দূর করার উপায়গুলো কি?

স্ট্রেচ মার্ক কি, কেন এবং কোথায় হয়?

স্ট্রেচ মার্ক সাধারণত অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, হরমোনজনিত সমস্যা এবং নারীদের গর্ভধারণের সময় স্কিনের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয় স্কিনে। স্ট্রেচ মার্ক দেখতে লম্বাকৃতির এবং ফাটা দাগের মতোই দেখায়। কখনো কখনো রঙ পাল্টে তা ফ্যাঁকাসে বা লালচে অথবা বেগুনী রঙেরও হয়।

বাড়তি ওজনের কারণে শরীরের চামড়ার আয়তন বেড়ে যায়। তখন ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ত্বকের কোলাজেনের ফাইবার ছিঁড়ে যায় এবং ত্বকে এমন দাগের সৃষ্টি হয়। ত্বকের ভেতরকার স্তরটি তখন দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফেটে গিয়ে এমন দাগ সৃষ্টি করে। এছাড়া, স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং কোলাজেন ফাইবারের সমস্যা হলে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়।

শরীরের বিভিন্ন অংশেই এই দাগ দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষ করে পেট, কোমর, হাত, ঘাড়, উরু এবং এমনকি নারীদের স্তনেও এই দাগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পুরুষদের ঘাড় এবং হাঁটুর পেছনের অংশে এই দাগ দেখা দেয়। এই দাগে কোন জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থাকে না; তবে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে স্ট্রেচ মার্ক।

স্ট্রেচ মার্ক দূর করার কার্যকরী উপায় কি?

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলেই স্ট্রেচ মার্ক দূর করা সম্ভব। তবে ব্যস্ততার কারণে হয়তো নিয়মিত রুটিন মেনে চলাটা সম্ভবপর হয় না। তখন বাধ্য হয়েই নিতে হয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অথবা ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার। তবে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ব্যবহারে স্ট্রেচ মার্ক দূর হবার সম্ভাবনা প্রবল এবং ডাক্তাররাও সেগুলোই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই –

ভিটামিন এ (ট্রেটিনইন, রেটিন-এ, রেটিনক এসিড)

ভিটামিন এ কম্পাউন্ডের রেটিনয়েড স্কিনের কোলাজেনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি স্ট্রেচ মার্ক, রিঙ্কেলস ও কুঁচকে যাওয়া ভাব দূর করে। তবে রেটিনয়েড ব্যবহারে ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক। কেননা, ত্বকের ধরণ অনুযায়ী এটি সাময়িক সময়ের জন্য ত্বকে লালচে ভাব ও ইরিটেশন করতে পারে। ভিটামিন এ সম্পন্ন দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার একটি কার্যকর ক্রিম হচ্ছে বায়োজিনের Mesotech MaxWhite -Strong Skin Action. আর স্কিনে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে আছে – Dermofuture Active Collagen in Gel.

কোকোয়া বাটার ও শিয়া বাটার

কোকোয়া এবং শিয়া দুটি বাটারই স্কিনের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যা স্কিনের স্ট্রেচ মার্ক ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি এই দুটি উপাদান স্কিনকে করে নরম, কোমল ও মসৃণ। কোকোয়া বাটার ও শিয়া বাটারের গুণসম্পন্ন বেশ কয়েকটি প্রোডাক্ট আছে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের বিশ্বমানের ডার্মো কসমেটিকসে। তবে দাগ নির্মূলে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য – Mesotech Reoil Skin Nutrition. এছাড়াও, বায়োজিনে আছে Scarsilc Advanced Silicone Gel for Scars এবং Dermedic Melumin Depigmenting Anti Dark Spot Night Cream স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে দারুণ কার্যকরী।

ট্রিটমেন্ট

তবে শুধু প্রোডাক্টই নয় বরং সর্বাধুনিক ট্রিটমেন্টেও শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর করা সম্ভব। তবে সেজন্য নিতে হবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অথবা ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ। ডার্মোরোলার এবং মাইক্রোনিডলিং দুই ফর্মুলাতেই স্ট্রেচ মার্কের ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব। চলুন মাইক্রোনিডলিং ফর্মুলা সম্পর্কে জেনে নেই –

মাইক্রোনিডলিং ফর্মুলা

ইলেক্ট্রোপোরেশন পদ্ধতিতে মাইক্রোনিডলিং ফর্মুলায় স্ট্রেচমার্ক দূর করার কার্যকর সিরাম ত্বকে প্রয়োগ করা হয়। এসব সিরামে থাকে একটিভ উপাদান যা ত্বকের স্ট্রেচ মার্ক রিমুভ করতে অত্যন্ত কার্যকর। ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত এমনই একটি স্ট্রেচ মার্ক রিমুভাল সিরাম হচ্ছে Global Meso Cocktail. এই থেরাপির প্রথম সেশন থেকেই স্ট্রেচ মার্কের দাগ ম্লান হতে শুরু করে। আর ধীরে ধীরে ত্বক হয় দাগহীন, মসৃণ এবং ফ্রেশ।

তাহলে এবার কমেন্ট করে জানিয়ে দিন স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে আপনার কাছে কোনটা বেশি কার্যকর?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *