শরীরের ফিটনেস ধরে রাখার কিছু কৌশল

শীত আসলেই আমরা সবাই উৎসবের আমেজে মেতে উঠি। বিয়ে, বউভাত, পিকনিক, জন্মদিনের মতো হাজারো আয়োজন। আর এসব আয়োজনে অনেক খাবার থাকে যা দেখলে আসলে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।

শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে আমরা যারা নিজেদের শরীর নিয়ে আত্মসচেতন বা আমরা যারা দিন দিন মুটিয়ে যাচ্ছি তাদের অবশ্যই ক্যালরি এবং খাবারের পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে যাদের ওজন বেশি হয়ে গেছে তাদের শুধু জিমে গিয়ে শরীর ঝরাতে হবে এটা ঠিক না।

শরীরের ফিটনেস ধরে রাখার কৌশলঃ

আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এর মধ্যে একটু সচেতনতা বা বুদ্ধি করলেই ঝরিয়ে ফেলা যায় বাড়তি মেদ এবং এর মাধ্যমে শরীরের ফিটনেসও ধরে রাখা যায়।

আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে ফিটনেস ধরে রাখতে পারি-

১. জগিং একটি হালকা শারীরিক ব্যায়াম। সকালে হালকা জগিং বা দ্রুত গতিতে হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে শারীরিক গঠন ঠিক থাকবে এবং অতিরিক্ত চর্বিও ঝড়ে যাবে।

২. লিফট না ব্যবহার করে মাঝে মাঝে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠুন।

৩. নাচ একটি ভালো শারীরিক কসরত। আপনি যদি গানের তালে নাচ নাও জানেন তারপরও হালকা পা দুলাতে থাকেন। জুম্বা নাচ অনুশীলন করতে পারেন।

৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। এই পরিষ্কার থাকার অভ্যাসই অতিরিক্ত ওজনকে কমিয়ে আনতে পারবে। যেমনঃ ঘর পরিষ্কার করা, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি।

৫. প্রতিদিন পান করুন অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি।

৬. ঝাল খাবার খান কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। মসলা মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।

৭. চর্বি-তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার পর বরফ ঠান্ডা পানীয় বা পানি পান করা এড়িয়ে চলুন।

৮. সময় নিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৯. সমস্ত কোমল পানীয় থেকে বিরত থাকুন।

১০. চিনি খাওয়ার অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।

১১. প্রতিবার খাবারে সালাদ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

১২. মাছ খাওয়া একটি নিয়মিত অভ্যাস করুন।

১৩. রাতে যত দ্রুত সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নিন। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লে স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮ টার মধ্যে খাবার খাওয়া হলে দেহে কম ক্যালরি গ্রহণ করা হয় এবং শরীর তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।

১৪. আরাম আয়েশ করে ভালো ঘুমের অভ্যাস করুন অন্তত ৮ ঘন্টা।

১৫. চাপমুক্ত জীবন যাপন করুন। হাসিখুশি আনন্দ উপভোগ নিয়ে জীবন যাপন করুন। প্রতি মিনিটে ১-৩ পয়েন্ট ক্যালরি বার্ন করা যেতে পারে শুধু হাসলে। মনে রাখবেন যে, বিষন্নতা ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের যে প্রধান জিনিসটি প্রয়োজন তা হল আমাদের অন্তরে বিশ্বাস। সুতরাং, নিজের উপর আস্থা রাখুন এবং আপনার কাজকে সম্মান করুন।