ছোটবেলার রূপকথার গল্পে আমরা সবাইই পড়েছি যে মানুষ চিরতরুণ থাকতে কত কিইনা করেছে? কিন্তু কোনভাবেই তারা সফল হতে পারেনি আর নিজের যৌবনটাকে ধরে রাখতে পারেনি। কেননা, মৃত্যু যেমন অনিবার্য। ঠিক তেমনই বার্ধক্যও জীবনের একটি অংশ। আর বয়স যত বাড়ে মানুষের স্কিনের স্বাভাবিক কোমল ভাবও ততই কমতে থাকে। উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ ত্বক ধীরে ধীরে পরিণত হয় ঝুলে যাওয়া ও কুঁচকে যাওয়া ত্বকে। কিন্তু এর পেছনে মূল রহস্যটা কি? তা কি জানেন? না জানলে সমস্যা নেই আজকের আয়োজনে জেনে নিতে পারবেন।
আমাদের ত্বক প্রতিনিয়ত বদলাতে থাকে। স্কিনে নতুন কোষ প্রতিস্থাপনের কাজ হয় নিয়মিত। স্কিনের ভেতরের কোষগুলো প্রতিনিয়ত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উপরের স্তরের দিকে উঠে আসতে থাকে। আর স্কিনের উপরের স্তরে এসে জমা হয় মৃত ত্বকের কোষ। এভাবেই স্কিন প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে গড়তে থাকে প্রতিনিয়ত। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্কিনের এই কোষ রিনিউয়াল পদ্ধতিটাও ধীরগতির হতে শুরু করে। আবার স্কিনের প্রাকৃতিক প্রোটিন কোলাজেনও কমতে শুরু করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে।
যার ফলে স্কিনের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। আর স্কিনের মৃত কোষ ত্বকের উপরের স্তরে জমে ত্বকে বিভিন্ন রোগের সমস্যা দেখা দেয়। আর স্কিন অনুজ্জ্বল এবং নিস্তেজ দেখায়। যার ফলে স্কিন হয়ে যায় রুক্ষ ও শুষ্ক এবং স্কিনের নমনীয়তা কমতে থাকে। আর বয়সের ছাপের পাশাপাশি রিঙ্কেলস, ফাইন লাইনস এবং মুখের ত্বক কুঁচকে যায় ও ঝুলে পড়ে।
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করে আসছে। তাই, এটা মানুষের এক ধরণের প্রবৃত্তিতে পরিণত হয়েছে। তাই, বুড়িয়ে যাওয়া কিংবা বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে যে বার্ধক্যজনিত লক্ষণ আসে সেটা প্রতিরোধেও মানুষ অনেক ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। রূপচর্চার কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললেই খুব সহজেই তারুণ্যময় ও লাবণ্যময় ত্বক ধরে রাখা সম্ভব। পাশাপাশি আপনাকে নিতে হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিউটি বুস্টার উপাদানসম্পন্ন ট্রিটমেন্ট এবং ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত সব ডার্মো কসমেটিকস।
তবে সব প্রোডাক্ট এবং ট্রিটমেন্ট নিতে হবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে। নাহলে হিতে বিপরীত হবার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে, এসবের আগে আপনাকে জানতে হবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মূলত কোন ধরনের সমস্যাগুলো ত্বকে দেখা দেয়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক বয়স বাড়লে স্কিনে কি কি সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি জেনে নিতে পারবেন সেই সমস্যা সমাধানে কার্যকর সমাধান কি হতে পারে।
ত্বকের শুষ্ক ভাব
বয়স বাড়লে ত্বকের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তখন ত্বক পর্যাপ্ত পরিমানে ময়েশ্চারাইজ এবং হাইড্রেট হতে পারে না। যেজন্য ত্বকে দেখা দেয় শুষ্ক ভাব। আর শুষ্কতার কারণে ত্বক রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। যেমনটা সাধারণত আর্দ্রতার কারণে শীতকালে ছোটবড় সবার ত্বকেই হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বক যে শুধুই ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে এমন কিন্তু নয়। বরং এটি স্বাস্থ্যজনিত বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শুষ্ক ত্বকের কারণে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা ত্বকের প্রদাহ অথবা ইনফ্লেমেশন এবং ক্ষত বা দাগ দেখা দেয় ত্বকে। তবে নিয়মিত স্কিনকেয়ার রুটিন আপনাকে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে পারে। যেমন - এমন ত্বকের যত্নে দরকার ময়েশ্চারাইজার, হাইড্রেট রাখে এমন প্রোডাক্ট, ত্বকের রুক্ষতা ও খসখসে ভাব দূর করে, ত্বককে করে কোমল ও মসৃণ - এমন সব প্রোডাক্টই পারে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে।
দাগ ও ক্ষত
তরুণদের তুলনায় বয়স্কদের ত্বকে দাগ ও ক্ষত সারতে দীর্ঘ সময় লাগে। আবার, বয়স বাড়লে ত্বক হয়ে উঠে সংবেদনশীল। তখন বাছাই করে সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন না করতে পারলে ত্বকে ক্ষত বা লালচেভাব দেখা দিতে পারে। তাই, এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।
রিঙ্কেলস
ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ভাবকেই মূলত রিঙ্কেলস বলে। আর রিঙ্কেলস হচ্ছে বয়সের ছাপকে ত্বকে আরো স্পষ্ট করে তোলে। পরিবেশগত দূষণ ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে রিঙ্কেলস দেখা দিতে পারে। রিঙ্কেলসের কারণে ত্বকের নমনীয়তা হ্রাস পায়। রিঙ্কেলসের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তবে রিঙ্কেলস দূর করতে যেমন প্রোডাক্ট রয়েছে তেমনই রয়েছে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট।
বয়সের ছাপ ও স্কিন ট্যাগ
বয়সের ছাপের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও কোমলতা দুইই হারায়। পাশাপাশি স্কিন ট্যাগও দেখা দেয়। স্কিন ট্যাগ হচ্ছে ত্বকের ভেতরের টিস্যু ত্বকের বাইরের স্তরে উঠে আসে। এটা অনেকটা আঁচিলের মতোই দেখায়। যদি বয়সের ছাপ এবং স্কিন ট্যাগ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে স্কিন ট্যাগের কারণে ত্বকে ইনফ্লেমেশন হতে পারে। তাই অগ্রিম ব্যবস্থা নেয়াই যুক্তিযুক্ত।
নিশ্চয়ই ভাবছেন বাজার ঘুরে ঘুরে আপনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে খুঁজে নিতে হবে ত্বকের যত্নের এসব কার্যকর প্রোডাক্ট এবং ট্রিটমেন্টগুলো! নাহ, চিন্তা নেই। কারণ আপনার ত্বকের যত্নে বায়োজিন আছে আপনার পাশে। স্কিনের যে কোন সমস্যা সমাধানে, ভরসা রাখুন বায়োজিনে। বায়োজিনে আছে ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত বিশ্বমানের এবং ইউরোপিয়ান স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডের সব ডার্মো কসমেটিকস। পাশাপাশি আছে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা পরিচালিত অত্যাধুনিক সব ট্রিটমেন্ট। এসব প্রোডাক্ট এবং ট্রিটমেন্ট আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে দেখা দেওয়া সব সমস্যা সমাধান করবে এবং স্কিনকে রাখবে তারুণ্যময় ও লাবণ্যময়। তাই, আর দেরি না করে চলে আসুন বায়োজিনের যে কোন ব্রাঞ্চে অথবা যে কোন স্কিনকেয়ার সেন্টারে।