বর্তমানে আমরা কমবেশি সকলেই সাস্থ্য নিয়ে সচেতন। নিজের সুসাস্থ্য, জীবন যাপন, খাদ্যভাস ও পুষ্টি নিয়ে সচেতন হওয়া কিংবা থাকা ভালো তবে কোন কিছুর নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বিষণ্নতা সৃষ্টি হয় যা অল্প বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এই বিষণ্নতা তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাবের কারণে তাদের খাদ্য গ্রহণের নিয়মকে প্রভাবিত করে। এটা একধরনের অসুস্থতা যাকে এক কথায় ইটিং ডিজঅর্ডার ( কম খাওয়া অথবা অনেক বেশি খাওয়া) বলে।
ইটিং ডিজঅর্ডার এর কারন সুনির্দিষ্ট নয় তবে
১.বায়োলজিক্যাল (জীবতাত্ত্বিক) কারণ
-জীণগত বা বংশগত
-অনিয়ন্ত্রিত হরমোন নিঃসরন
-পুষ্টির ঘাটতি
২. মানসিক অবস্থা
৩. পরিবেশগত অস্বাভাবিকতা-
-পরিবারে অশান্তি
-শৈশবে যৌন হয়রানি এ ধরনের অসুস্থতার জন্য দায়ী।
তিন ধরনের ইটিং ডিজঅর্ডার হয় যার মধ্যে-
(Anorexia nervosa) - এক পর্যায়ের ব্যাক্তির সবসময় ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে এবং ব্যাক্তি এত অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে যার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি ,অঙ্গ হানী , হাড়ের ক্ষয়, হার্ট ডিজিস সহ মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
(Bulimia nervosa) - অন্য পর্যায়ে ব্যাক্তির ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার দরুন ব্যাক্তি অনেক বেশি খাবার একবারে গ্রহণ করে এবং ঠিক পরবর্তী মুহুর্তে মুখে আঙ্গুল দিয়ে বমি করে, অতিরিক্ত ব্যায়াম করে এ ধরনের ব্যাক্তির গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, মারাত্মক ডিহাইড্রেশন এবং দেহে ইলেকট্রলাইট ইমব্যালেন্স দেখা দেয়।
(Binge eating disorder)- সর্বশেষ পর্যায়ে ব্যাক্তি নিজের খাবার গ্রহণের উপর নিয়ন্ত্রন থাকেনা এবং ব্যাক্তি খাদ্য গ্রহণের জন্য অনুতপ্ত, বিষন্ন, বিব্রত থাকে এবং এ ধরনের ব্যাক্তি ওবেজ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর সম্ভবনা অনেক বেশি।
সবগুলো ইটিং ডিজঅর্ডার ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যে হতে পারে। এবং এ ধরনের সমস্যা সনাক্তের জন্য আপনি আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
Most. Nourin Mahfuj
Fitness Nutrition Specialist
Bio-xin Fitness solution