অবাঞ্ছিত লোম একটি বিব্রতকর সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে এটি শরীরের বড় কোন সমস্যার লক্ষণ হিসেবে প্রকাশিত হয়। তাই একে অবহেলা না করে কারণ নির্ণয় করা উচিত। ১৮-৪৫ বছর বয়সের মানুষের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। তবে শতকরা ১০% নারীর শারীরিক কোন সমস্যা না থাকা সত্বেও এটি হতে পারে।
অবাঞ্ছিত লোম কি ?
মেয়েদের শরীরের যেসব স্থানে সাধারনত লোম থাকার কথা নয়, সেসব স্থানে পুরু, কালো, শক্ত লোম হলে তাকে অবাঞ্চিত লোম বলে। যেমন: ঠোঁটের উপর, চিবুক, থুতনি, বুকে, পিঠেসহ বিভিন্ন জায়গায়। তবে সারা শরীরে বেশি লোম হলেও তাকে অবাঞ্ছিত লোম বলা যাবে । এই অবস্থাকে বলে হাইপারট্রাইকোসিস। এটি নারী পুরুষ যে কারো হতে পারে। নিজের কাছে বেমানান মনে হলে বা অস্বস্তিতে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অবাঞ্চিত লোম হবার কারণ ?
অবাঞ্চিত লোমের জন্য যেসব কারণ দায়ী হাইপারট্রাইকোসিসের জন্য সে কারণ দায়ি নয়। আবার চিকিৎসাও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
১। অবাঞ্ছিত লোমের কারণ হিসেবে সাধারণত ধরা হয়-পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম,
২।পুরুষ হরমোনের আধিক্য,
৩। থাইরয়েড হরমোনের অস্বাভাবিকতা
৪। জেনেটিক সমস্যা
৫। এবং সর্বোপরি কারো কারো ক্ষেত্রে এসব কোন কারণ না থাকা স্বত্বেও অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে। অনিয়মিত মেন্সট্র–য়েশন, অতিরিক্ত ওজন, পুরুষালী কণ্ঠস্বর, এ্যাকনি বা ব্রন, কপালের দু’পাশ দিয়ে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রাথমিক ভাবে হরমোনের অস্বাভাবিকতা নির্দেশ করে। তবে, সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা জরুরি।
অবাঞ্চিত লোমের কারণ জানতে পরীক্ষা করালে সাধারণত এই ধরনের তথ্যই বের হয়। অবাঞ্চিত লোমের সঠিক কারণ নির্ধারণে আ্যন্ড্রোজেন, টেস্টোস্টেরণ, থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিন, ল্যুটেনাইজিং হরমোন, ফলিকুলার স্টিমুলেটিং হরমোন ইত্যাদি পরীক্ষা সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে। প্রথমত অবাঞ্ছিত লোমের কারণ নির্ণয় করা জরুরি। যদি শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন জটিলতা থাকে, তবে তা দূর না করলে লোম দূরীকরণের কোন পদ্ধতিই দীর্ঘ সময়ের জন্য লোমহীনতার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
সাধারন ভাবে আমাদের দেশের নারীরা সাময়িক কিছু পদ্ধতি যেমন, ওয়াক্সিং, থ্রেডিং, এমনকি শেভিংও করে থাকেন। যার কোনটিই নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত অথবা স্থায়ী সমাধান নয়। এতে শুধুমাত্র লোম গুলোকে তুলে ফেলা হয়, লোমকূপ থেকে নতুন লোম গজানো বন্ধ হয়না।
প্রতিকার ঃ অবাঞ্ছিত লোমের প্রকৃত কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার পাশাপাশি লোম দূর করার নিরাপদ ও স্থায়ী কিছু পদ্ধতি অনলম্বন করতে হবে ।
এর স্থায়ী সমাধান লেজার চিকিৎসা অথবা হোম পালস লাইট যার সাহায্যে হেয়ার ফলিকল গুলোকে ডি একটিভ করা হয় অর্থাৎ লোম কূপ বন্ধ করে দেওয়া হয় জার ফলে পরবর্তীতে ঐ স্থান থেকে আবার চুল গজায় না ।
১। হোম পালস লাইট ( আই পি এল লাইট ) হেয়ার ফ্রি ডিভাইস ( হোম পালস লাইট )অবাঞ্চিত লোমের কার্যকরী এবং স্থায়ী সমাধান । এই ডিভাইসটি আই পি এল অর্থাৎ Intense pulsed light ( IPL ) এর মাধ্যমে কাজ করে । আইপিএল হল একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে চিকিৎসকরা চুলের অপসারণ , ত্বকের পিগমেনটেশন , সূর্যের ক্ষতি এবং ডারমাটোলজিক রোগগুলো কমিয়ে থেরাপিউটিক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ত্বকের চিকিৎসা করে থাকে ।
আইপিএল বেসড হেয়ার ফ্রি ডিভাইসটি আপনি ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারবেন । এতে রয়েছে ৫ টি লেভেল এবং ৪লাক পালস যা আপনার সম্পূর্ণ শরীরের জন্য যথেষ্ট । এই ডিভাইস এর ৮-১০ টি সেসন অর্থাৎ সপ্তাহে একবার ব্যবহারের ফলে আপনার অবাঞ্চিত লোম স্থায়ী ভাবে চলে যাবে । হেয়ার ফ্রি ডিভাইস অবাঞ্চিত লোমের একটি ব্যথা মুক্ত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ সমাধান ।
এতে নতুন লোম গজানো বন্ধ করে দেয়। ডিভাইসগুলোর বিশেষ সেন্সরের সাহায্যে শুধুমাত্র হেয়ার ফলিকল গুলোকে চিহ্নিত করে পালস লাইট দিয়ে অকার্যকর করা হয় বলে এতে আশপাশের ত্বকের কোন ক্ষতি হয়না। একেক জনের শরীরের লোমের ঘনত্ব ও গঠন একেক রকম, তাই সবার জন্য একটি চিকিৎসা সমানভাবে কাজ করবেনা।
২। লেজার চিকিৎসাঃ অবাঞ্চিত লোমের সমাধানের জন্য যদি আপনার পছন্দ হয় লেজার পদ্ধতি সে ক্ষেত্রে বাইয়ো লেজার হল সবচেয়ে কার্যকরী । বাইয়ো লেজার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ব্যথা মুক্ত পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার শরীরের যে কোন স্থানের অবাঞ্চিত লোমের সমাধান করতে পারবেন । এই লেজার পদ্ধতিতে আপনার অবাঞ্চিত লোম কোন প্রকার পারশপ্রক্রিয়া ছারায় হেয়ার ফলিকল গুলোকে ডি একটিভ করে দিবে যার ফলে পরবর্তীতে ঐ স্থান থেকে আবার অবাঞ্চিত লোম হবে না ।
আপনি বাইয়োজিন কসমেসিউটিক্যালস এ হেয়ার ফ্রি ডিভাইস এবং বাইয়োলেজার চিকিৎসাটি করাতে পারবেন ।
Facebook Comments