প্রতিদিন ই আমাদের ত্বকের কোষ মরে যাচ্ছে । এর ফলে ধীরে ধীরে আমাদের ত্বক কাল হয়ে যাচ্ছে এবং সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে । তাই সপ্তাহে একবার মাইক্রোডারমাব্রেসন এর মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা প্রয়োজন । আপনি ঘরে বসে খুব সহজে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে পারবেন মাইক্রোডারমাব্রেসন এর মাধ্যমে ।
মাইক্রডারমাব্রেসন কি ?
মাইক্রডারমাব্রেসন একটি ট্রিটমেন্ট যা ডিভাইস এর মাধ্যমে দেওয়া হয়ে । মাইক্রডারমাব্রেসন এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিভাইসটি হল রিভিট । রিভিট ডিভাইসটি দুটি এনার্জির মাধ্যমে কাজ করে থাকে –
১.ভেকুম সাক্সন (Vacuum Suction)
২.ডায়মন্ড পিলিং(Diamond Peeling.)
এই দুই এনার্জির সমন্বয়ে ডিভাইসটি ত্বকের উপরের মৃত কোষ অপসারণ করে। ডায়মন্ড পিলিং মূলত একটি exfoliation প্রক্রিয়া যা ত্বকের মৃত কোষ তুলে ফেলে এবং ভেকূম সাক্সন এর ফলে মৃত কোষ ফিল্টারে জমা হয় । এইটা একটি noninvasive প্রক্রিয়া যা ত্বকের ময়লা, অতিরিক্ত তৈল, ত্বকের ব্রণের দাগ, মেস্তা, রোদের পোড়া দাগ ইত্যাদি দূর করে ।
মাইক্রোডার্মাব্রেসন না করার অপকারিত ঃ
১। ত্বক কালো হয়ে যায় ।
২। ছোপ ছোপ কালো দাগ হয়ে যায় ।
৩। দীর্ঘ দিন ছোপ ছোপ কালো দাগ থাকার ফলে মেছতা হতে পারে ।
৪। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায় ।
৫। ত্বকের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায় ।
৬। ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস জমে যায় ।
মাইক্রোডার্মাব্রেসন এর উপকারিত ঃ
১। ত্বকের মৃত কোষ তুলে ফেলে ফলে ত্বকে নতুন কোষ জন্মায় এতে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হয় ।
২। মাইক্রোডার্মাব্রেসন এর ফলে ত্বকের ব্রণের কালো দাগ তুলে ফেলা যায় ।
৩। মাইক্রোডার্মাব্রেসন ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করে ।
৪। মাইক্রোডার্মাব্রেসন করার ফলে চোখের কালো দাগ দূর হয় ।
৫। মাইক্রোডার্মাব্রেসন ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে ।
৬। রোদে পোড়া দাগ দূর করে ।
৭। ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস দূর করে ।
৮। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ।
৯। মেছতার দাগ দূর করে ।
১০। ত্বক ফর্সা করে ।
বিঃদ্রঃ আপনি এই রিভিট ডিভাইসটি বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস ক্লিনিক এ পাবেন । তাছাড়া বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস বায়োহাইড্রাফেসিয়াল আছে যেখানে মাইক্রোডার্মাব্রেশন দেওয়া হয়ে থাকে ।
Facebook Comments