সিরিজ-১
পর্ব-১
শ্রাবনী চৌধুরী, বয়স ২২, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী। বাবা কে এম মোখলেস চৌধুরী দেশের নামকরা শিল্পপতি। মা সায়রা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। শখ সিনেমা দেখা। পেশা হিসেবে সিনেমা বানানোকেই বেছে নিতে চায় শ্রাবনী। এরইমধ্যে কয়েকটা ‘শর্ট ফিল্ম’ও বানিয়েছে। বাবা মার একমাত্র সন্তান শ্রাবনী চৌধুরী। স্বভাবতই শ্রাবনীর কোন ইচ্ছাই তার বাবা মা অপূর্ণ রাখে না। আর বাবা মা’র ইচ্ছার প্রতিও পূর্ণ সম্মান আছে শ্রাবনীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির শিক্ষার্থীর মধ্যে শ্রাবনী সবচেয়ে উপরের সারির।
ছোটবেলা থেকেই শ্রাবনী খুব প্রনোচ্ছল ও হাসিখুশি। তার এই উচ্ছলতা সংক্রমিত হতো তার আশেপাশের অন্য সবার মধ্যে। ধরা যাক কারো খুবই মন খারাপ, তার মন ভালো করার জন্য হাজির শ্রাবনী। পার্টিতে সবার মুড অফ, সেখানে প্রাণ আনার জন্য আছে শ্রাবনী। শ্রাবনী না থাকলে মনে হয় আড্ডাটাই জমে না।
মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা তার প্রচন্ড। শ্রাবনী বিশ্বাস করে তার মধ্যে আলাদা একটা দ্যুতি আছে যা সবাইকে কাছে টানে। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে সবার প্রয়োজনে এগিয়ে যাওয়া এবং সৎ পরামর্শ দেয়া। অবশ্য তাকে নিয়ে তার বন্ধু মহলে সমালোচনাও কম নয়। অনেকের অভিযোগ বাবা মায়ের অনেক টাকা থাকলে সবাই শ্রাবনীর মতো হতে পারতো।
এটা কিন্তু শ্রাবনী একদমই বিশ্বাস করে না। তার মতে সে যা এটা নিজ গুনেই অর্জন করেছে। টাকাই সবকিছুর মানদণ্ড না। একজন পরিপূর্ণ মানুষ বলতে যা বুঝায় শ্রাবনী ঠিক তাই। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও বেশ সরব।
তাই বলে কি শ্রাবনীর কোনো সমস্যা নেই? একবার আড্ডায় এই প্রশ্ন করা হয়েছিল শ্রাবনীকে? শ্রাবনী উত্তর দিয়েছিলো তারও অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে অনেকবার এবং এখনও হয়। তাহলে শ্রাবনী প্রথম কখন ঘাবড়ে গিয়েছিলো কোন সমস্যায় পরে, লিসা প্রশ্ন করে। শ্রাবনীর উত্তর, যখন প্রথম ব্রণ হয়।
লিসা: (হাসে) আরে এটা কোনো সমস্যা হলো নাকি? ব্রণ সমস্যা সমাধানে আমি তো হাত ব্যবহার করি।
শ্রাবনী: এটাই তো সবচেয়ে বেশি ভয়ের ব্যাপার। হাত ব্যবহার করলেই তো মুখে দাগ পরে যায়। এই জন্যই তো তোর মুখে এত দাগ। আর দেখ আমার ত্বকে কোনো দাগ নেই।
লিসা: তাই তো দেখছি। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব হয়েছে?
শ্রাবনী: শোন, তাহলে তোকে একটা গল্প বলি। ঘটনাটা ২-৩ বছর আগেকার। আমাদের একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা। আমি তো খুব খুশি, কারণ আমার উদ্দেশ্য আসলে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা না। বেড়ানো। সবই মোটামুটি ঠিকঠাক। ঘোছানোও প্রায় শেষের দিকে। পরের দিন সকালে রওনা দিবো। কিছু টুকিটাকি জিনিস কেনার জন্য বের হবো। আমার একটা অভ্যাস হলো কোথাও বের হওয়ার আগে আমি মুখ ধুয়ে বের হয়। তো আমি মুখ ধুতে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি মুখে ব্রণ উঠেছে। আমি তো রীতিমতো ঘাবড়ে গেলাম। আগামীকাল বেড়াতে যাবো আর আজকে এই অবস্থা। মুখের এই অবস্থা দেখে আমি বাইরে বের হলাম না। মনটা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
অবশ্য আমিও হাল ছাড়ার পাত্রী নই। পৃথিবীতে সমস্যা আছে আর তার সমাধানও আছে। তাই আমি ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁজ করা শুরু করলাম এবং সমাধান পেয়েও গেলাম। বললে তুই হয়তো বিশ্বাস করবি না মাত্র ১২ ঘন্টায় আমি ব্রণ সমস্যার সমাধান পেয়েছি। পরের দিন মুখে কোনো ব্রণই ছিল না। আমি বিশ্বাস ছিল একটু চেষ্টা করলেই এই সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ভাবিনি।
লিসা: কিভাবে পেলি এর সমাধান? আর কেই বা দিলো?
শ্রাবনী: সেটা আমি তোকে এখনই বলবো না। তোর বাসায় নেট আছে, তুই ফেসবুক ব্যবহার করিস, ইউটিউব দেখিস- তুই খুঁজে নে। এর সমাধান খুঁজে পেতে তোকে খুব একটা কষ্টও করতে হবে না।
Facebook Comments