Help line 01755-660522

Search
BioCare Hair Growth Oil – চুলের জন্য সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পুষ্টি!

আমাদের দেশে চুলের যত্ন বলতেই বোঝায় নারিকেল তেলের গল্প। কিন্তু সব নারিকেল তেল কি আসলেই খাঁটি ও নির্ভেজাল? অনেক তেলে মেশানো হয় বিভিন্ন রাসায়নিক, কৃত্রিম গন্ধ কিংবা সংরক্ষণকারী উপাদান। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই, অথচ দিনের পর দিন এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া, রুক্ষতা বেরে যায়। নতুন চুল গজানোর পরিবর্তে বরং বেড়ে যায় চুল পড়ার সমস্যা। তাই এখন দরকার এমন এক হেয়ার অয়েল, যা হবে একদম খাঁটি, নির্ভেজাল এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। যে তেল শুধু পুরনো ঐতিহ্যের অংশ নয়, বরং আধুনিক চুলের সমস্যারও সমাধান। নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের গোড়া মজবুত করা— সবটাই যেন এক বোতলে! চলুন তাহলে এমন তেলের সন্ধানে আজকের ব্লগ শুরু করি!

কেন চুলের জন্য যেকোনো মানের তেল ব্যবহার করা ঠিক নয়?

ভেজাল বা নিম্নমানের তেলে এমন কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকে, যা প্রথমে চুলকে ঝলমলে এবং সুন্দর দেখাতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই তেলগুলো চুলের গঠন এবং ফলিকলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
এ ধরনের তেল স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দিয়ে চুলের গোড়াকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে তোলে। এর ফলে চুল পড়া শুরু হয়, চুল রুক্ষ এবং প্রাণহীন হয়ে যায়। এমনকি মাথার ত্বকে চুলকানি, খুশকি এবং নানা ধরনের অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বায়োকেয়ার হেয়ার গ্রোথ অয়েল— আস্থার এক নতুন নাম

আর এসব সমস্যার সমাধান দিতেই তৈরি হয়েছে বায়োকেয়ার হেয়ার গ্রোথ অয়েল। এতে রয়েছে ৯টি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল তেলের সমন্বয়। যেমন— ফ্র্যাকশনেটেড কোকোনাট অয়েল, অনিয়ন অয়েল, বাওবাব অয়েল, প্রোমেগ্রানেট সীড অয়েল, আর্গান অয়েল, রোজমেরি অয়েল, ব্ল্যাক পিপার অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, ভিটামিন-ই অয়েল ইত্যাদি, যা একাধারে চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এখানে কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক বা ভেজাল নেই, তাই এটি ব্যবহারে চুলের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

কেন বায়োকেয়ার অন্যদের থেকে আলাদা

পুরোপুরি প্রাকৃতিক উৎস:

৯ প্রকার তেলের সবকটিই বিশুদ্ধভাবে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়, যাতে কার্যকারিতা অক্ষুণ্ণ থাকে।

চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে:

নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায়, ফলে চুলের ফলিকলগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ে।

চুলকে করে মজবুত ও ঝলমলে:

চুলের ভেতরের কাঠামোকে শক্তিশালী করে, বাইরের নিয়ে আসে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত ভাব।

স্ক্যাল্প সুরক্ষায় সহায়ক:

অনেকের মাথায় খুশকি বা অ্যালার্জি সহ অন্যান্য স্ক্যাল্প-সমস্যা থাকে। বিশুদ্ধ তেলের মিশ্রণে এসব সমস্যা দূর করে শুষ্কতা বা অতিরিক্ত তেলতেলেভাব কমিয়ে আনে।

নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান:

রাসায়নিক মিশ্রণ বা ভেজালের কারণে চুলের যে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, বায়োকেয়ার তেলে সেই ঝুঁকি নেই। তাই এটি দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহার পদ্ধতি

চুলের যত্নে এই তেল ব্যবহারের পদ্ধতি খুবই সহজ। প্রথমে ২-৩ ফোঁটা তেল হাতে নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট সময় নিয়ে স্ক্যাল্পে ভালভাবে তেল মিশিয়ে দিন, যাতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং তেলের পুষ্টিগুণ চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছায়। এরপর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা তেল রেখে দিন, তবে চাইলে সারারাতও রেখে দিতে পারেন। সময় শেষ হলে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ইচ্ছে করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।ভালো ফলাফলের জন্য এই তেল সপ্তাহে ৩-৪ বার নিয়মিত ব্যবহার করুন।
অনেক সময় আমরা সঠিক পণ্য না জেনে ভুল তেল ব্যবহারে চুলের আরও ক্ষতি করে ফেলি। অথচ প্রকৃতির বিশুদ্ধ উপাদানগুলো চুলে প্রয়োগ করলে সহজেই পাওয়া যেতে পারে দারুণ ফলাফল। একবার বায়োকেয়ার হেয়ার গ্রোথ অয়েল ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন বাজারের অন্যান্য তেলের সঙ্গে এর তফাৎ। এটি শুধু চুলের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং চুলকে করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং মজবুত।

শেষ কথা

নারকেল তেলের নামে ভেজাল কিছু ব্যবহার করে চুলের ক্ষতি ডেকে না এনে বরং বিশুদ্ধ তেলের ওপর আস্থা রাখুন। ৯ প্রকার প্রাকৃতিক তেলের নির্ভেজাল সংমিশ্রণে তৈরি বায়োকেয়ার হেয়ার গ্রোথ অয়েল হতে পারে আপনার চুলের জন্য সেরা সমাধান। একবার ব্যবহার করে দেখুন—চুলের ঘনত্ব, মসৃণতা আর উজ্জ্বলতায় নিজেই পার্থক্য উপলব্ধি করতে পারবেন। সুস্থ ও ঝলমলে চুলের জন্য এখনই বেছে নিন বায়োকেয়ার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *