Help line 09613 100 101

Search
বয়স বাড়ুক, ত্বক নয়! ৩০-৪০ বয়সে আপনার গ্লো গাইড

৩০-৪০ আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়। কর্মক্ষেত্র আর পরিবার সামলাতে গিয়ে এই সময় নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না অনেকেরই। আর এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায় আমাদের ত্বকে।

তাহলে কিভাবে মধ্যবয়সে কম সময়ে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া যায়?

আপনার ত্বকের সমস্যাগুলো মাথায় রেখে সঠিক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন গ্লোয়িং স্কিন। তবে আপনাকে একটি স্কিনকেয়ার রুটিন তৈরি করে তা নিয়মিত ফলো করতে হবে রেজাল্ট পেতে হলে।

চলুন দেখে নিই ৩০-৪০ এ ত্বকের স্কিনকেয়ার রুটিন কেমন হতে পারে।

মধ্যবয়সে ত্বকের পরিবর্তন ও সাধারণ সমস্যা

বয়স বিশের কোঠা পেরিয়ে ৩০ হওয়ার পর পর ই ত্বকে হাজার সমস্যা শুরু হয়। এই সময় ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমে গিয়ে দ্রুত ত্বকের সমস্যা শুরু হয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা, পিগমেন্টেশন, ডার্ক স্পট বা উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে।

মোটাদাগে মধ্যবয়সে ত্বকে নিচের সমস্যাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়ঃ

  • ফাইন লাইন
  • বলিরেখা
  • ডার্ক স্পট
  • পিগমেন্টেশন
  • উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া

এই সমস্যাগুলোর পেছনে কোলাজেন উৎপাদন কমে যাওয়ার সাথে সাথে সূর্যের UV রশ্মি, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, স্ট্রেস, ঘুমের ঘাটতি ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভাসের প্রভাব থাকে।

কেমন হওয়া উচিত আপনার স্কিনকেয়ার রুটিন?

একটি ভালো স্কিনকেয়ার রুটিনে প্রতিদিন সকালে ও রাতে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে তা থাকা জরুরী। এছাড়া সপ্তাহের ১-২ দিন ত্বকের একটু স্পেশাল কেয়ার করতে হবে। চলুন দেখে নিই আমাদের স্কিনকেয়ার এক্সপার্টরা কি সাজেস্ট করছেন:

সবার আগে প্রয়োজন ত্বককে পরিষ্কার রাখা – ত্বকের প্রতিদিনের ময়লা আর দূষণ দূর করে ন্যাচারাল হাইড্রেশন বজায় রাখতে বেছে নিন একটি লাইটওয়েট ক্লিনজার। দিনের শেষে, অফিস বা বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই মেকআপ ও ধুলোবালি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

Novaclear Collagen Facial Cleanser – বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

ত্বক কে সজীব রাখতে ব্যবহার করুন টোনার ও সিরাম – ক্লিনজিং এর পরে ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে টোনার খুবই কার্যকরী একটি প্রোডাক্ট। স্কিনে টোনার এপ্লাই করার পরে এন্টি-এজিং উপাদান সমৃদ্ধ (যেমন: Bakuchiol, Vitamin C) সিরাম ব্যবহার করবেন যা আপনার ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখবে।

Dermedic OILAGE Antioxidant Serum – বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

ময়েশ্চারাইজার আর সান-প্রোটেকশন আপনার ত্বকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু – ত্বকের শুষ্কতা আর কুঁচকে যাওয়া রোধ করতে হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার অপরিহার্য। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই SPF 50+ সানস্ক্রিন যা সানব্লক ব্যবহার করুন যা আপনার ত্বককে বলিরেখা, Sagginess বা ঝুলে যাওয়া পিগমেন্টেশন, ও সান ড্যামেজ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।

BioCare kojic acid & collagen whitening sunscreen cream – বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

সপ্তাহে ১-২ বার ত্বকের প্রয়োজন এক্সফোলিয়েশন – ত্বকের মৃত কোষ আপনার স্কিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে ডালনেস এনে দেয়। তাই আপনার ত্বকের প্রয়োজন বুঝে সপ্তাহে ১ -২ বার কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশন করা জরুরী যা আপনার ত্বকের টেক্সচার উন্নত করার সাথে সাথে সিরাম ও ক্রিম ত্বকে দ্রুত এবজর্ব করতে সাহায্য করে।

BioCare Exfoliating Face Serum – বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

রাতের স্কিনকেয়ার রুটিনে যোগ করুন এন্টি-এজিং প্রোডাক্ট – আপনার স্কিনের সেল রিজেনারেশন প্রক্রিয়াকে বাড়ানোর জন্য রাতের স্কিনকেয়ারে রেটিনল, কোলাজেন- এর মতন এন্টি-এজিং ফর্মুলা সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের ড্যামেজ কমে আপনাকে এনে দিবে ইয়াংগার লুক।

My Rose Night Cream – বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

৩০-৪০ এর বয়সে গ্লোয়িং ত্বকের রুটিন এক নজরে

🕒 সময় 🧴 ধাপসমূহ
🌞 সকাল 🧼 ক্লিনজার
💧 টোনার
✨ সিরাম
🧴 ময়েশ্চারাইজার
🌞 সানস্ক্রিন
🌙 রাত 🧼 ক্লিনজিং
✨ সিরাম
🌙 নাইট ক্রিম
🧴 সাপ্তাহিক ১-২ বার 🧽 এক্সফোলিয়েশন

 

ত্বকের সৌন্দর্যে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের প্রভাব

স্কিনকেয়ার রুটিনের পাশাপাশি আপনার ত্বককে সুন্দর ও সজীব রাখতে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের জুড়ি মেলা ভার। চলুন দেখে নিই আপনার লাইফস্টাইল কিভাবে আপনার ত্বকে প্রভাব ফেলে:

১. পর্যাপ্ত ঘুম

আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুম না হলে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল ও ত্বকে ক্লান্তির ছাপ চলে আসে। তাই আপনার দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন যা আপনার ত্বক রিপেয়ার করতে সাহায্য করে।

২. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

দৈনন্দিন কাজের চাপ ও দুশ্চিন্তা আপনার শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরি করে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে মেডিটেশন, ব্যায়াম বা শখের কাজ করুন। এতে আপনার মানসিক স্ট্রেস দূর হয়ে আপনার মন, শরীর ও ত্বককে সজীব রাখবে।

৩. সুষম খাদ্যাভ্যাস

ত্বককে সুন্দর রাখতে চাইলে সবার আগে প্রয়োজন ভেতর থেকে পুষ্টি। তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে যোগ করুন শাকসবজি, ফলমূল ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। আপনার শরীর ও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পানি অবশ্যই পান করতে হবে।

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ত্বকের প্রচুর ক্ষতি করে। তাই এসব খাবার কমিয়ে আনসে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে।

কেন মধ্যবয়সের ত্বকের যত্নে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস বেছে নেবেন?

বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে দেখা দিতে থাকে হাজারো সমস্যা। এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য অনেকেই দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট এনে ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার বিভিন্ন স্কিন ট্রিটমেন্টের জন্য চলে যান দেশের বাইরে।

কিন্তু বায়োজিন আপনাকে দিচ্ছে দেশের মধ্যেই কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের পার্সোনালাইজড ট্রিটমেন্ট। আমাদের কাছে রয়েছে:

১. ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড প্রোডাক্ট – আমাদের প্রতিটি প্রোডাক্ট ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ ও আধুনিক গবেশণার ভিত্তিতে তৈরি। তাই আপনার স্কিন টাইপ বুঝে এবং আমাদের স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোডাক্ট ব্যবার করলে অতি দ্রুত আপনার ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ার হয়ে সজীব ও উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পাবেন।

২. দেশসেরা অ্যান্টি-এজিং ও ব্রাইটেনিং সিরিজ – আমাদের অ্যান্টি-এজিং সিরাম, ক্রিম ও ব্রাইটেনিং পণ্য তৈরি করা হয় আপনার ত্বকের সব সমস্যার কথা চিন্তা করে। তাই আপনার ত্বক থেকে খুব দ্রুত বলিরেখা, পিগমেন্টেশন, ও রুক্ষভাব কমিয়ে দেয়।

৩. পার্সোনালাইজড কনসালটেশন – আমাদের স্কিন স্পেশালিস্টগণ আপনার ত্বকের ধরন, সমস্যা ও লাইফস্টাইলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করে দেন বেস্ট স্কিনকেয়ার রুটিন। ইন-স্টোর বা অনলাইনে আপনি ব্যক্তিগত পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন।

শেষ কথা

সর্বোপরি মধ্যবয়সে ত্বক ও শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন আর স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। সময়ের আগেই ত্বকের মলিন হয়ে যাওয়া আর এজিং সাইন প্রতিরোধ করতে সঠিক উপায়ে নিয়মিত যত্নই যথেষ্ট। আর আপনার গ্লোয়িং ত্বকের জার্নিতে সঙ্গী হিসেবে বায়োজিন তো আছেই।

আমাদের ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড প্রোডাক্টগুলো আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ড্যামেজ কমিয়ে রাখে সুরক্ষিত আর উজ্জ্বল্ল। তাই আপনার আত্ববিশ্বাসী স্কিনের জার্নি শুরু হোক আজ থেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *