যে ১৩ টি কারণে আপনার ওজন কমছে না

৫. পর্যাপ্ত পানি পান না করা

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে আপনার ওজন কমার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে ও মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। সাধারণত খাবার খাওয়ার আগে ১ গ্লাস পানি পান করা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী অভ্যাস।

৬. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাব

অনেকেই ডায়েট করার ক্ষেত্রে কোনো দীর্ঘমেয়াদী সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করেন না। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় দ্রুত ওজন কমাতে গেলে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়। দেখা যায়, ডায়েট করার সময় ওজন কমলেও ডায়েট ছেড়ে দেওয়ার পর পুনরায় ওজন বৃদ্ধি পায়। অপরিকল্পিত ডায়েট রুটিন অনেক সময় স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

৭. অনিয়মিত পরিকল্পনা

ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন: প্রতিদিন আপনার কি পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত, কোন কোন সময়ে খাবার খাওয়া উচিত- এসব বিষয় সম্পর্কে সঠিক পরিকল্পনা খুবই জরুরি। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস যেমন ডায়েট রুটিনকে ব্যর্থ করতে পারে তেমনি অনিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাসও ওজন কমাতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

৮. অতিরিক্ত কঠোরতা

অনেকেই ডায়েট রুটিনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন করে থাকেন। পছন্দের খাবার ত্যাগ করেন, অনেক কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন যা স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। ডায়েট রুটিন মেনে চলা মানে এই না যে, আপনাকে অনেক কম খেতে হবে বা কম ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। আমাদের শারীরিক ও মানসিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যতোটুকু ক্যালোরি গ্রহণ করা স্ট্যান্ডার্ড, ততোটুকুই গ্রহণ করা উচিত।

৯. অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আসক্তি

অনেকেরই ফাস্টফুড, মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি থাকে। এধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে না পারলে ডায়েট রুটিন যথাযথভাবে কাজ করে না। বরং এসব খাবার ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে।

১০. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব

অনেকেই মনে করে শুধু ডায়েটের মাধ্যমেই ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু ধারণাটি ভুল। খাবার খাওয়ার পর ক্যালোরি বার্ন হওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম। ক্যালোরি বার্ন না হলে ডায়েট করেও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব নয়।

১১. মানসিক চাপ

মানসিক চাপ ও উদ্বেগের ফলে অনেক সময় ডায়েট রুটিন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। অনেকে মানসিক চাপে থাকলে বেশি বেশি খেতে চান। ফলে নিয়মিত ডায়েট রুটিন ঠিক থাকে না। যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। তাই মানসিক চাপে থাকলে সেটাকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

১২. সামাজিক চাপ

সামাজিকতার কারণে অনেক সময় ডায়েট রুটিন মেনে চলা অসম্ভব হয়ে যায়। বন্ধুদের আড্ডা, পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন। ফলে ডায়েট রুটিন ব্যর্থ হয় এবং ওজন কমানোয় তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

১৩. বাস্তবসম্মত লক্ষ না থাকা

ওজন কমানোর জন্য ডায়েট রুটিন মেনে চলার ব্যাপারে শুরুর দিকে অনেকেই অতি উৎসাহী থাকেন। তাদের পরিকল্পনায় বাস্তবসম্মত চিন্তা সেরকমভাবে থাকে না। ফলে ডায়েট রুটিন কিছুদিন পরই ব্যর্থ হয়ে পড়ে।

ওজন কমানোর জন্য প্রথমে একটি সঠিক পরিকল্পনা দরকার এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভালো মনোবল প্রয়োজন। কিছু পুরনো অভ্যাস বাদ দিয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পরিকল্পিত ডায়েট এবং সচেতনতা অনুসরণ করে সঠিক সময়ে আপনার ওজন কমান এবং স্বাস্থ্যকর ও স্মার্ট জীবন যাপন করুন।