ব্রণ সাধারণ একটি ত্বকের সমস্যা যা সকল বয়সের মানুষেরই হতে পারে। তাছাড়া জেনেটিক্স, হরমোন, খাদ্যাভ্যাস এবং পরিবেশগত কারণেও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রণ অসহ্যকর একটা পরিস্থিতে ফেলে দেয় কিন্তু কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আমরা এনেছি আপনাদের জন্যে যা ব্রণকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং তা কমাতে সাহায্য করে। ঘরোয়া এই প্রতিকারগুলো মেনে চললেই স্থায়ীভাবে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
ত্বক পরিষ্কার রাখুন
আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিঞ্জার ব্যবহার করে দিনে দু-বার আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন। খাড় জাতীয় সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ত্বককে জোড়ালোভাবে ঘসবেন না। এটি আপনার ত্বকে ব্রণের প্রবণতা বাড়িয়ে দিবে।
হাতের স্পর্শ কমান
যতোটা সম্ভব আপনার মুখে স্পর্শ করবেন না। কারণ এর ফলে আপয়ান্র হাত থেকে ব্যাকটেরিয়া এবং তেল আপনার মুখে স্থানান্তর করতে পারে। এবং ব্রণের আবির্ভাবও বাড়তে পারে।
প্রাকৃতিক প্রতিকার
কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার আছে যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। যেমন- ১৫-২০ মিনিটের জন্য আপনার মুখে মধু এবং দারুচিনির মিশ্রণ লাগান। এটি ত্বক থেকে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং ব্রণের প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করুন। এর ফলে আপনার ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড এবং ব্রণ হওয়ার কমবে ঝুঁকি।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন
ফল, শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন। এর ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর। টমেটো, পালং শাক জাতীয় খাবারও ত্বকের জন্যে বিশেষ উপকারী। এতেও কমবে ব্রণ।
গরম ও আদ্র পরিবেশ এড়িয়ে চলুন
গরম ও আদ্র পরিবেশ আপনার ত্বকে বেশি তেল তৈরি করতে পারে, যা ব্রণের উল্লেখযোগ্য প্রভাবকও। তাই যতোটা সম্ভব শীতল ও শুষ্ক স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
ভারী মেকাপ ছাড়ুন
ভারী মেকাপ আপনার ত্বকের পোরসগুলোকে আটকে দিতে পারে এবং ব্রণকে আরোও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যায়। হালকা এবং তেল-মুক্ত মেকাপ বা প্রসাধনী বেছে নিন যা আপনার পোরসগুলোতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
রোজ ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন সহনশীল ব্যায়াম করুন। এতে করে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ত্বকে ব্রণের আবির্ভাব কমাবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
ঘুমের স্বল্পতা ব্রণের অন্যতম একটি কারণ। তাই রোজ ৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করবে ব্রণ মুক্ত মসৃণ ত্বক।
বিস্তারিত জানতে কল করুন 01755660522