কসমেটিকসে লুকানো মার্কারি, স্টেরয়েড ও হাইড্রোকুইনোনের মতো গোপন ঘাতক ক্ষতি করছে না তো আপনার ত্বকে?

সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের চাহিদা অনেক বেশি আমাদের দেশে। তাই পণ্যগুলোর গুণগত মান এবং প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে বাজারে ত্বকের যত্নে সহজলভ্য সস্তা পণ্যগুলির বেশিরভাগের মধ্যেই বিষাক্ত মার্কারি বা পারদ, স্টেরয়েড এবং হাইড্রাকুইনোন এর মতো ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রিত থাকে। আর এসব পণ্যের একেবারেই বিপরীতে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস। বায়োজিনের সকল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট সুদূর ইউরোপ থেকে আমদানি করা হয় এবং সেগুলো স্বাস্থ্যকর, প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরিকৃত। যা ত্বককে দেয় নিরাপদ উজ্জ্বলতা এবং নেয় সেনসিটিভ কেয়ার। 

আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কেন সস্তা এবং ক্ষতিকর উপাদান দ্বারা তৈরি ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত পণ্যগুলিকে আমরা বর্জন করে নিরাপদ ও কার্যকর পন্থায় ত্বকের যত্ন নিশ্চিত করবো বায়োজিনে। 

মার্কারি বা পারদঃ আপনার ত্বকের জন্যে বিপদ!

সস্তা ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমগুলিতে প্রায়শই পারদ থাকে। এটি একটি বিষাক্ত ধাতু যা কিডনির ক্ষতি, স্নায়ু রোগ এবং ত্বকের নানান সমস্যা সহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। পারদ ভিত্তিক ক্রিমগুলির দীর্ঘায়িত ব্যবহার ত্বকের বিবর্ণতা, ফুসকুড়ি এবং পারদের বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। অপরদিকে বায়োজিনের সকল পণ্য সম্পূর্ণরূপে পারদমুক্ত। যাদের মাধ্যমে ত্বকের কোনোরকম ক্ষতিসাধন ছাড়াই ত্বককে প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে তুলবে এবং ত্বক থাকবে নিরাপদ। 

স্টেরয়েডঃ দ্রুত ফলাফল কিন্তু ভোগান্তি চিরকাল!

বিভিন্ন কসমেটিকসের মধ্যে দ্রুত রেজাল্ট দেয়ার জন্যে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর ফল দ্রুত পেলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যায় সারাজীবন। তাছাড়া এসব ক্রিম কিংবা প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং ত্বকের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি সাধন করে। স্টেরয়েডের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ত্বকে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হতে পারে এবং শরীরের প্রাকৃতিক হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে। অন্যদিকে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি বিভিন্ন ডার্মো-কসমেটিকস সরবরাহ করে যা ত্বকের জন্যে নিরাপদ, কার্যকরী এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত।

হাইড্রোকুইনোনঃ ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে সঙ্গে মারাত্মক ক্ষতিও

হাইড্রোকুইনোন সাধারণত এমন একটি উপাদান যা ত্বকের পিগমেন্টেশন হালকা করতে পারে কিন্তু এর দীর্ঘায়িত ব্যবহারের ফলে ত্বকে জ্বালা পোড়া, পাতলা হয়ে যাওয়া এবং ওক্রোনোসিস নামক একটি অবস্থার সম্মুখীন করাতে পারে। যা ত্বকের উপরে কালো এবং ঘন হয়ে আটকে থাকে। এদিকে বায়োজিনের আমদানিকৃত কোনো পণ্যেই হাইড্রোকুইনোনের মতো ক্ষতিকারক উপাদান থাকে না। তাই ত্বক পাবে উপকার কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রীয়া ছাড়াই। 

বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসঃ ত্বকের প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ সমাধান 

বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি ইউরোপীয়ান ডার্মো কসমেটিকসের মাধ্যমে ত্বকের যত্নে নিজেদের ভূমিকা রেখে আসছে অনবরত। যার ফলে আপনাদের ত্বক পাবে দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা এবং সৌন্দর্য!

ইউরোপীয় ডার্মো-কসমেটিকস এবং বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস

পণ্যে নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইউরোপ অনেক বেশি কঠোর আমাদের তুলনায়। বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস সেই ইউরোপের সকল নামীদামি এবং জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলি থেকেই পণ্য আমদানি করে থাকে। যেগুলো স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি এবং সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা নিশ্চিত ও কয়েক ধাপে পরীক্ষিত। মনের শান্তি এবং বিশ্বাস নিয়ে ব্যবহার করছে লক্ষ লক্ষ স্কিন প্রেমীরা এই পণ্যগুলি এবং সমস্যার সমাধানও পেয়ে যাচ্ছেন সময় মতো। 

ত্বকের যত্নের কথা যখন আসে তখন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পণ্যগুলিকে এড়িয়ে চলা অত্যাবশ্যক। পারদ, স্টেরয়েড এবং হাইড্রোকুইনোনের মতো বিষাক্ত উপাদাঙ্গুলি ত্বককে ধীরে ধীরে ক্ষতির সম্মুখীন করে ফেলে, যা পরবর্তীতে আর রোধ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।  তাই এসব ক্ষতিকর উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার পরিত্যাগ করে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের আমদানিকৃত প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি পণ্য ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যকর, সুন্দর এবং নিরাপদ ত্বকের অঙ্গীকার করে আস্থা রাখুন বায়োজিনে। কারণ ভালোবাসে যারা নিজের স্কিন তাদের জন্যই বায়োজিন! 

বিস্তারিত জানতে কল করুন 01755660522