ব্রণ অনেক কারনেই হয়ে থাকে । আমাদের প্রথম বের করতে হবে ব্রণ কেন হয় ?এবং এর প্রতিকার কি ? অনেক সময় হরমনের পরিবর্তন এর ফলে ব্রন হয় ,এই পরিবর্তনের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রন না থাকলেও যে স্বভাবগত কারনে ব্রন হয় তা বের করে এর প্রতিকার করা প্রয়োজন । ত্বকে ধুলোময়লা জমে থাকা , বংশগত কারণ , ত্বকে ভিটামিনের অভাব , কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি কারনে ব্রন হয়ে থাকে । ব্রণ থেকে বাঁচার অভ্যাস গত উপায়ঃ নভ আসুন জেনে নিই সহজ কিছু নিয়ম, যা মেনে চললে খুব সহজেই ব্রণ আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে , সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন এবং দিনে কমপক্ষে দু’বার গোসল করুন। প্রতিদিন অন্তত তিন-চার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন এর ফলে ব্রণের উৎপাত অনেকটা কমে যাবে। মুখে কখন সাবান ব্যবহার করবেন না অবশ্যই একনি ক্লিঞ্জার ব্যবহার করে ফেস ওয়াস ব্যবহার করুন । নখ দিয়ে কখনও ব্রণ খোটানো ঠিক না। ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর তুলা দিয়ে দুপাশে চেপে ধরতে হবে। এতে ভিতরের আঁশ ও পুঁজ বেরিয়ে আসবে। তবে বেশি চাপাচাচি করা ঠিক হবে না।
ব্রন থেকে বাচার ঘরোয়া উপায় ঃ ১। রসুন এর রস ব্রনের জন্য অনেক উপকারি ।রসুনের রস ব্রণের উপরে লাগান , পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২। সাধারণত ত্বক তৈলাক্ত থাকার ফলে ব্রন হয় । শশার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
৩। ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ এ লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪। গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
৫। রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় ম্যাসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়। আপনি এটি আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।
ব্রন এর চিকিৎসা :
১। একনি গো ডিভাইস : একনি গো ডিভাইস ছোট পেন এর মত । এই ডিভাইসটি দুটো লাইট এর মাধ্যমে কাজ করে ব্ল লাইট ও রেড লাইট । এর ব্ল লাইট একনি দূর করবে এবং রেড লাইট একনির দাগ ও ক্ষত দূর করবে । আপনার একনির উপরে লাইট মাত্র দুই মিনিট ধরে রাখতে হবে ।
২। ডক্টর লাইট : ডক্টর লাইট একটি এডভান্সড স্কিন কেয়ার ডিভাইস যার মাধ্যমে ব্রন , অয়েলি স্কিনের চিকিৎসা করা হয় । ডক্টর লাইট এ তিনটি ওয়েব লিঙ্কের লাইটের মাধ্যমে কাজ করে । ব্ল লাইট, রেড লাইট ও ইনফারেট লাইট । ব্ল লাইট ব্রনের ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করে , ত্বকের ওয়েল নিয়ন্ত্রণ করে ত্বক কে ব্রন মুক্ত করে । রেড লাইট স্কিন সেল রিজেনারেট করে , ত্বক কে রিজুভুনেট করে পোর সাইজ কমিয়ে লং লাস্টিং এন্টি এজিং ইফেক্ট দেয় এবং ইনফারেট এনার্জি কোলাজেন প্রোটিন স্টিমুলেট করে ।
৩।Retinol serum : সিরামের প্রাকৃতিক উপাদান এবং ভিটামিন ই ত্বকের তৈল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণ এর ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই সেরাম এর ভিটামিন E থাকে যা ত্বকের পুষ্টি যোগায়। ৪। ডায়মন্ড পিলিং ঃ ডায়মন্ড পিলিং ত্বকের ব্রনের দাগ দূর করে ।
Facebook Comments