সিরিজ-১
পর্ব-২
আজ শ্রাবনীর মন খুব ভালো। মাথাও কাজ করছে তুমুল বেগে। নতুন শর্ট ফিল্মের জন্য যে গল্পটা আসি আসি করেও আসছিলো না, সেটা আজকে এক নিমিষেই শেষ করে ফেলেছে। এমনকি চিত্রনাট্যও লেখা প্রায় শেষের দিকে। এখন শুধুমাত্র শেষটা কিভাবে আরো নাটকীয় করা যায় সেটা নিয়েই ভাবছে। কিন্তু শেষটা কিছুতেই তার মনঃপুত হচ্ছেনা।
শ্রাবনী ভাবলো একটু বিরতি নেয়া যাক, কিছু সময় পরে আপনাআপনিই শেষটা মাথায় চলে আসবে। হটাৎ তার মনে হলো ঘুম থেকে উঠে সে এখনও ব্রাশ, নাস্তা কিছুই করেনি। ব্রাশ করতে গিয়ে তার মনে হলো আজ তো মঙ্গলবার।
-আহ, এত গুরুত্বপূর্ণ দিনটা এভাবে ভুলে গেলাম কেন?
আজ তার অদ্ভুত খেলার দিন। মানে নিজের সাথে নিজে কথা বলা, নিজের সত্ত্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, গাছপালা-পশুপাখির সাথে মনে মনে কথা বলা এইসব আরকি। মঙ্গলবারটা শ্রাবনীর কাছে এই কারণেই এত গুরুত্বপূর্ণ। যত জটিল জিনিস আছে তার সমাধান সে মঙ্গলবারই সমাধান করে ফেলে কিভাবে যেন।
শ্রাবনী নিজেও জানে না সেটা। হয়তো তার অবচেতন মনে সমাধানটা আগে থেকেই থাকে। মঙ্গলবার না আসলে হয়তো অবচেতন মন কঠিন জিনিসের সমাধান সহজে দেয় না। শ্রাবনীর তো তাই ধারণা।
ব্রাশ করে এসে চা খেতে খেতে শ্রাবনী তার অদ্ভুত খেলা শুরু করলো। সে তার অবচেতন মনের সাথে কথা বলা শুরু করে। সে খেয়ালের বশে তার অবচেতন মনের একটা নামও দিয়েছে-‘ক্যাপ’। তবে নামটা কেন দিয়েছে বা এই নামের পিছনকার কি উদ্দেশ্য সেটা কিন্তু শ্রাবনী নিজেও জানে না।
শ্রাবনী: হ্যালো ক্যাপ। এক সপ্তাহ পরে আবার দেখা হলো।
ক্যাপ: হ্যা, কি খবর তোমার? সব ঠিকঠাক?
এই কথা শোনার পর শ্রাবনী কিন্তু খুব অবাক হয়। কারণ ক্যাপ কখনো তাকে এইসব ভালো বা খারাপ থাকার কথা জিজ্ঞেস করে না।
শ্রাবনী: কেন? কি হয়েছে?
ক্যাপ: হয়েছে তো কিছু একটা।
শ্রাবনী: তাহলে বলে ফেলো।
ক্যাপ: আগে তুমি খুঁজে দেখো পাও কিনা।
শ্রাবনী অনেক ভাবনা চিন্তা করে কিছু না পেয়ে জিজ্ঞেস করে-
শ্রাবনী: ধুর, হেয়ালি বাদ দাও। বলো কি হয়েছে?
ক্যাপ: একবার আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াও। তাহলেই বুঝতে পারবে।
শ্রাবনী আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় এবং সাথে সাথেই সমস্যাটা ধরতে পারে। তার মুখের লাবণ্য এবং সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে।
ক্যাপ: এখন বুঝতে পেরেছো কেন জিজ্ঞেস করেছি সব ঠিকঠাক আছে কিনা? আর তুমি তো খুব বুদ্ধিমতী। তুমি তো জানোই এই সমস্যা সমাধানে কি করতে হবে।
শ্রাবনী: হ্যাঁ, এখনই Bio-Xin-এ যেতে হবে। আর Revit Microdermabrasion ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
Facebook Comments