শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যেমন পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ত্বকের ড্যামেজ প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টির প্রয়োজন হয়। পুষ্টিকর উপাদান ত্বকের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা ও শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। প্রক্রিয়াজাতকৃত ও অপর্যাপ্ত পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার, stress বা টক্সিন ত্বকের বয়স বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। ক্ষতিকারক কেমিকেল থেকে ত্বককে সুরক্ষা করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, রিলাক্সেশন এবং নিয়মিত ব্যয়াম ত্বকের স্বাভাবিক গ্লো ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
১। পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুন
খুবই সামান্য পরিমান ডিহাইড্রেশনের জন্য শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হয়। ডিহাইড্রেশন হলে তাৎক্ষনিক ভাবে আপনার ত্বক dull, স্যাগি ও লুজ হয়ে যাবে।
২। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টই শরীরের সবচেয়ে বড় সম্পদ যেটি ত্বকের প্রদাহ ও ড্যামেজ কমিয়ে ত্বককে রোগ ও বয়সের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। নিম্নবর্ণিত খাবারগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর সবচেয়ে ভাল উৎস:
- Blueberries
- Pomegranates
- Acai berries
- Goji berries
- Spinach
- Raspberries
- Nuts
- Seeds
- Purple grapes
- Dark chocolate (70% or higher of cocoa content)
- Organic green tea
৩। রংধনুর রঙের মতো বিভিন্ন বর্ণিল খাবার দিয়ে প্লেট সাজান
আমাদের শরীরের ফ্রী-রেডিক্যাল ত্বকের কোষের গঠনকে ধ্বংস করে। বিভিন্ন পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার ফ্রী-রেডিক্যালকে নিউট্রালাইজ করে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ফ্রী-রেডিক্যালকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
৪। বেশী বেশী করে অর্গানিক খাবার খান
অর্গানিক খাবার ত্বকের বয়স বৃদ্ধির জন্য দায়ি টক্সিনকে ধ্বংস করে থাকে।
৫। রোদে বের হওয়া নিয়ন্ত্রন করুন
অল্পমাত্রার সূর্যের আলো ভিটামিন ডি উৎপাদন করে যা ত্বক ও শরীরের জন্য উপকারী। অতিমাত্রার সূর্যের আলো ত্বককে ড্যামেজ করে। রোদে যাওয়ার আগে সানগ্লাস ও সানস্ক্রীন ব্যবহার করতে ভুল করবেন না।
৬। প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত স্কীন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন
বেশীর ভাগ স্কীন কেয়ার প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক কেমিকেল যুক্ত। কাজেই ময়েশ্চারাইজার, ক্রীম ও মেক-আপ কেনার আগে ভালভাবে দেখে নিন সেগুলোর উপাদান প্রাকৃতিক ও নিরাপদ কি না। আরবুটিন (Arbutin), Aluvera, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, হায়ালুরনিক এসিড এগুলো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান।
৭। টক্সিক উপাদান যুক্ত স্কীন ক্লীনজার ব্যবহার করবেন না
৮। বাসায় এবং অফিসের কাজের ডেস্কে ইনডোর প্লান্ট রাখুন
অফিস এবং বাসার ইনডোর প্লান্ট দূষন কমাতে সাহায্য করে এবং বায়ু বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
৯। পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খান
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার ত্বকের রিংকেল কমাতে সাহায্য করে। গবেষনায় দেখা গেছে যে, ত্বক ভিটামিন-সি এর সংস্পর্শে এলে আট গুন বেশী পরিমান কোলাজেন উৎপাদন করে।
১০। চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করুন
চিনি যুক্ত খাবার ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিন নষ্ট করে ফেলে, যার ফলে ত্বকে রিংকেল হয়।
১১। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খান
প্রতিদিনের খাবারে অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং মাছ থাকা জরুরী। ফ্যাটি এসিড ত্বকের তারুণ্যতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১২। আপনার শরীর টক্সিন মুক্ত করুন
দূষন যুক্ত বাতাস ও পানির জন্য এবং ভেজাল যুক্ত খাদ্যের জন্য আমাদের শরীরে টক্সিন জমা হয় যা আমাদের শরীর ও ত্বককে বয়স্ক করে ফেলে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবুর পানি শরীরকে টক্সিন মুক্ত করতে সাহায্য করে।
১৩। এমন কিছু কাজে জড়িত থাকুন যাতে আপনি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে পারেন
উচ্চ মাত্রার স্ট্রেস ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রনের জন্য আপনি মেডিটেশন বা ইয়োগা করতে পারেন। সমস্যা যুক্ত মানুষ ও কাজ পরিত্যাগ করুন। আপনার কাছের বন্ধুদের সাথে আপনার দুশ্চিন্তা ও সমস্যার কথা খোলা মনে শেয়ার করুন।
১৪। পর্যাপ্ত ঘুমান
ঘুম আমাদের ত্বককে পূনর গঠন করে ও Rejuvenate করে। আপনি নিজেকে নিশ্চিত করুন আপনার ৮ ঘন্টা কোয়ালিটি ঘুম হয়।
১৫। নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের ত্বক ও শরীরে অক্সিজেনের পরিবহন বাড়ায় যার ফলে আমাদের ত্বক দৃঢ হয়। ব্যায়ামের ফলে ঘামের মাধ্যমে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়। হাসতে ভুলবেন না, হাসি মুখের সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম।
Related Product
[vc_column]
Facebook Comments