গ্রীষ্ম শেষ হয়ে শীত আসছে আবহাওয়ার এই পরির্বতনের সাথে সাথে শারীরিক কিছু অসুবিধা আমাদের কম বেশি সবার দেখা দিচ্ছে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে দেহের মেকানিজমে পরিবর্তন আসে যার দরুন
- চোখ, নাকের আশ পাশ চুলকানো
- চোখ লাল হওয়া, নাক দিয়ে পানি পরা
- মাথা ধরা, হাচিঁ, ক্লান্তি,
- জয়েন্টে ব্যাথা, সহ বিভিন্ন এলার্জিক নমুনা দেখা দেয় অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় সে অবস্থাকে আমরা জ্বর বলি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের জ্বর এর কথা বলা আছে
– মাঝে মাঝে জ্বর ( এ ধরনের অবস্থায় ব্যাক্তির তাপমাত্রা দিনে স্বাভাবিক থাকলেও রাতে বৃদ্ধি পায়).
– হঠাৎ উচ্চ জ্বর
– সব সময় জ্বর ( প্রায় প্রায় জ্বর আসে)
– রেমিট্যান্ট জ্বর
– বাতজ্বর সহ অন্যান্য।
বিভিন্ন ধরনের জ্বর এর মধ্যে ভাইরাস জ্বর ইমিউন সিস্টেমকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। শরীরের উচ্চতাপমাত্রা অসুস্থতার সাথে লড়াই করে কোষগুলির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে আক্রমণকারী জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
ভাইরাস জ্বর এ খাদ্যভাস-
১. ফ্লুইড ধরনের খাবার ( স্যুপ, ডাবের পানি, জাউ ভাত, গলা ভাত, গলা খিচুড়ি, লেবুর শরবত, বেলের শরবত, সহ বিভিন্ন ফলের শরবত, খাবার স্যালাইন) গ্রহণের পরিমানে বাড়ানো।
২. থেরাপিউটিক ডোস হিসেবে ভিটামিন- সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা।
৩. দিনে দুইবার হালকা গরম আদা, তুলসি, পুদিনা জাতীয় পানিও কিংবা রং চা গ্রহণ।
৪. ঘুমানোর ২/৩ ঘন্টা আগে কাচাঁ হলুদ দিয়ে হালকা গরম দুধ গ্রহণ ( সপ্তাহে ৩/৪ দিন)।
৫. প্রয়োজনে নিদিষ্ট সময়ের জন্য বিভিন্ন ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ।
খাবারের সাথে সাথে বিশ্রাম এবং তাপমাত্রা পর্যবেক্ষনে রাখা।
বিঃদ্রঃ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মারাত্মক অবস্থায় অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করে তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হবে।
Most. Nourin Mahfuj
Fitness Nutrition Specialist
Bio-xin Fitness Solution
Nourin Mahfuj Finick
Facebook Comments