অনেকের কথা আমি সারাদিন তেমন কিছুই খাইনা তাহলে ওজন এমন এক জায়গায় থেমে আছে কেন এবং অনেকের ধারণা আমি পরিমিত খেয়ে ওজন বাড়ছে কেন আবার কারো কথা মতে খাওয়া দাওয়া সব ঠিক আছে কিন্তু ক্লান্তি ভাব থাকে কেন?
আপনার সারাদিনে যতটুকু ক্যালরি প্রয়োজন ততটুকু গ্রহন না করলে ইমিউনিটি নিউট্রাল থাকে দুর্বল হয় ওজন ও স্টাক হয়ে থাকে। আবার আপনার ক্যালরিনুযায়ী খাবার গ্রহন না করার কারনে –
-চুল পড়ছে
-ত্বকের কোমলতা হারিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে
-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে
অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ কিংবা একই ধরনের উপাদান গ্রহণের কারনে কিছু পুষ্টি উপাদান এর ঘাটতি রয়ে যায় যার ফলে
– সারাদিন না পরিশ্রম করেও ক্লান্তি অনুভব হচ্ছে।
শরীরে খাবার এর ঘাটতিতে আপনি যদি হেভি এক্সারসাইজ করেন তাহলে আপনার খুব অল্প সময়ের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় থেকে মেরুদণ্ডের হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হবে যার কারনে চলাফেরা করার ক্ষমতা ব্যাহত হবে।
প্রতিদিন কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলুন-
১. সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি নিয়ে সকালের রোদে ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করুন।
২.অবশ্যই সকালে কিছু সময় বের করে ব্যায়াম করুন
( সম্ভব না হলে দিনের যেকোনো ভাগে ৩০-৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন)
৩. সকালের খাবার সঠিক ভাবে গ্রহণ করুন।
৪.সারাদিনে ভিটামিন-সি জাতীয় মৌসুমি ফল গ্রহণ করুন।
৫. সারাদিনের মিলে মাছ কিংবা মুরগীর মাংস অবশ্যই রাখুন।
৬. আবহাওয়া উপর নির্ভর করে ২৫০০মি.লি. এর উপরে এবং ৩০০০মি.লি. এর মধ্যে পানি গ্রহণ করুন ( প্রতি বার ১৫০-২০০মি.লি পানি)।
৭. রাতে শব্দহীন ভাবে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমান।
৮. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ন ১ থেকে ২ বছর অন্তর অন্তর ডাক্তার এর পরামর্শনুযায়ী আপনার প্রেসার, হিমোগ্রোবিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সহ অন্যান্য মাত্রা ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
সবকিছুর পাশাপাশি শরীরের গুরুত্ব দেওয়াটা জরুরী আপনি আপনাকে সুস্থ রাখতে পারলে সারাদিন ক্লান্তিহীন ভাবে সকল কাজ করতে পারবেন নতুবা, খুব অল্পতেই আলসেমি আসবে এবং কোন কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হবেনা।
আপনার আজকের সুস্থতাটা আজকের জন্য নয় আগামী দিনের জীবন যাপনকে সহজ করে তুলবে।
Most. Nourin mahfuj
Fitness Nutrition Specialist
Bio-xin Fitness Solution
Facebook Comments